দুয়ারে পুজো, বাজার টানছে চিকনের কুর্তি

কুর্তি-প্রদর্শনী। ছবি–সংগৃহীত।

পুজোয় কী কিনবেন! পুজোর হাল ফ্যাশানের টিপস দিচ্ছেন

শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়

 পুজোর বাজার এখনও শুরু করেননি! তাহলে আর দেরি না করে চটপট কেনাকাটা শুরু করুন। কারণ পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। কাজেই পছন্দমতো পোশাক, তার আনুষঙ্গিক অর্থাৎ জুতো, ব্যাগ, কসমেটিকস অনেক কিছুই তো কিনতে হবে। তাই বাজারে যাওয়ার আগে একবার চোখ বুলিয়ে নিন এ বছরের পুজোর হাল ফ্যাশানের ছবিটা কেমন।

    আমরা বাঙালিরা বেশিরভাগই পুজোর কেনাকাটার সময় মাথায় রাখি কোন জিনিস কিনলে সারা বছর পরতে পারব। দু’একটা অবশ্য একটু স্পেশাল থাকে যা বিশেষ অনুষ্ঠানে পরার জন্য কেনা হয়। এ বার বিভিন্ন প্রদর্শনী ও শপিং মল ঘুরে দেখা গেল, রোজকার ব্যবহারের জন্য মোটামুটি ভাল কাপড়ের কুর্তি পাওয়া যাচ্ছে ৪০০ টাকা থেকেই। সাধারণ ছাপা পছন্দ না হলে বাটিকের কিনতে পারেন। বাটিক এ বছর ভালই চলছে। এখন ডিজাইনারদের মতো সাধারণ দোকানেও বাটিকের সঙ্গে অন্যান্য প্রিন্ট মিলিয়ে একটা নতুন লুক দেওয়া হচ্ছে। কুর্তি ছাড়াও বাটিকের শাড়িও ভালই বিকাচ্ছে। কাঁথা স্টিচের কুর্তি কিংবা শাড়িও কাটতি ভালই।

    দোকানিদের কথা মতো এ বার পুজোয় চিকনের পোশাক ক্রেতাদের টানছে। তাই দোকানে যেন চিকনের লাল, নীল, সবুজের মেলা বসেছে। কোনটা পছন্দ করবেন তা নিয়ে ধন্দে পড়তেই হবে। শুধু চিকনের কুর্তি যেমন পাওয়া যাচ্ছে, তেমনই মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করাও আছে। জিনস, প্যান্ট, লেগিংস, জেগিংস কিংবা পালাজো সবকিছুর সঙ্গেই মানিয়ে যায়।

    তা ছাড়া ঐতিহ্যবাহী মেটিরিয়ালের প্রতি আমাদের সব সময়েই আলাদা আকর্ষণ থাকে। তাই নজর কাড়ছে ইক্কত কিংবা কটকির হাল ফ্যাশান। আসলে যাঁরা একটু আরামদায়ক অথচ ঐতিহ্যবাহী পোশাক পছন্দ করেন তাদের কাছে এই কাপড়ের চাহিদা সব সময়েই তুঙ্গে থাকে। এ বছরেও কুর্তি থেকে ব্লাউজ কিংবা শাড়ি সব কিছুতেই ইক্কত ও কটকি প্রাধান্য পেয়েছে। গড়িয়াহাট, দক্ষিণাপন থেকে শুরু করে বিভিন্ন শপিং সাইটেও এই ধরনের কাপড়ের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। তবে শপিং সাইট থেকে কেনার সময় একটু রিভিউতে চোখ বুলিয়ে নেবেন। কারণ দেখতে সুতির মতো হলেও কাপড় সব সময়ে ঠিকঠাক হয় না।

    বাজার ঘুরে দেখাও গেল যে, স্ট্রেট, লং, আনারকলি নানা ডিজাইনের কুর্তি পাওয়া যাচ্ছে। যার যেমন পছন্দ তা বেছে নিলেই হল। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময়ও কিন্তু পুজোর সময়েই। কাজেই এক ধরনের ডিজাইনে বোর হয়ে গেলে নতুন কিছু ট্রাই করুন। দেখুন হয়তো সেটা হিট করে গেল। তবে পোশাকের সঙ্গে সাজ যেন মানানসই হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

    শাড়ির মধ্যে বিভিন্ন প্রাদেশিক শাড়ি ছাড়াও জর্জেট, শিফন, লিনেন, হ্যান্ডলুম শাড়ি এ বারেও ভাল-ই চলছে। শাড়ি সাদামাটা হলেও ব্লাউজে অভিনবত্ব থাকলে সাজ খুলে যাবে। এখন চিকনের ঘটিহাতা ব্লাউজ নানা রঙের পাওয়া যাচ্ছে। তা ছাড়া কলমকারি, বাটিক, কটন সিল্কের একরঙা ব্লাউজ কিনে নিতে পারেন। পোশাকের আনুষঙ্গের মধ্যে জুতো আগেভাগে কিনে নিন। কয়েকদিন ট্রায়াল দিয়ে না নিলে পুজোর ঠাকুর দেখা এবং বন্ধুদের সঙ্গে হইচই করা দুটোই মাটি হয়ে যাবে পায়ের ফোসকার জ্বালায়।

    আর এ বারেও স্লিং ব্যাগ ইন। কাজেই ঠাকুর দেখতে বেরনোর আগে টুকটাক জিনিস সঙ্গে রাখার জন্য ব্যাগ একটা জরুরি। কাজেই আর দেরি নয়, পুজোর কেনাকাটা শুরু করে দিন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here