আজ জন্মাষ্টমী, ইসকনে ভক্তিরসের প্লাবন

শিল্পীর তুলিতে যশোদার কোলে কৃষ্ণ। ছবি–সংগৃহীত।

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৬ অগস্ট: : আজ, শনিবার জন্মাষ্টমী। শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। ভগবানের জন্মের সেই পবিত্র দিনটিকে কেন্দ্র করে মথুরা থেকে গঙ্গাসাগর–ইসকনের প্রতিটি মন্দিরে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী। সর্বত্রই বইছে ভক্তিরসের প্লাবন।

                                মায়াপুরে ইসকনের মন্দিরে চলেছে জন্মাষ্টমী পালন। ছবি–সংগৃহীত।

পুরাণ মতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যাদব-রাজধানী মথুরার রাজপরিবারের সন্তান। তিনি বসুদেব ও দেবকীর অষ্টম পুত্র। ভগবানের জন্মের কথা বিশ্লেষণ করে ভগবদ্গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ে বলা হয়েছে, তিনি তাঁর নিজের ইচ্ছায় আবির্ভূত হন। তাই পুরাণ বলছে, দ্বাপর যুগে যখন রাজা কংসের অত্যাচারে চারদিকে অরাজকতা চলছে, সে সময়ে বসুদেব এবং দেবকীর ঘরে জন্ম নেন কৃষ্ণাবতার। কিন্তু জন্মের পর হয় ভগবানের ঘর বদল। দৈব নির্দেশ মেনে বসুদেব নিজের নবজাত শিশু কৃষ্ণের লালন-পালনের জন্য নন্দের কাছে রেখে যান। নন্দ হলেন বসুদেবের খুড়তুতো ভাই। নন্দ ও তাঁর স্ত্রী যশোদা দু’জনে মিলে কৃষ্ণ ও বলরাম উভয়েরই প্রতিপালন করেন। ছেলেবেলা থেকেই পুতনাবধ, দামবন্ধন লীলা, কালিয়দমন, গোর্বধন উত্তোলন–এমনসব  কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কৃষ্ণ তাঁর অলৌকিক শক্তির প্রমাণ দেন। নিপীড়িত মানুষ মুক্তির আশায় কৃষ্ণের অনুগামী হয়ে ওঠে। অবশেষে কৃষ্ণ কংসকে বধ করেন।

গঙ্গাসাগরে ইসকনের জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান। -ফাইল ছবি।

নদিয়ার মায়াপুরে ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, বিগত বছরের মতো এ বারেও এখানে চন্দ্রোদয় মন্দিরে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ভক্তের ঢল নেমেছে। জন্মাষ্টমীর পরদিন এখানে নন্দোৎসবের সঙ্গে পাশাপাশি পালিত হবে ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য এ সি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের ১২৯ তম জন্মজয়ন্তী। তাঁর মতে– আজও বিশ্বব্যাপী দুর্বলের ওপর চলছে সবলের অত্যাচার। সংকীর্ণ রাজনীতির স্বার্থে চলছে মনুষ্যত্বের অবমাননা। মানবসমাজ আজ বিভ্রান্ত এবং দিশাহারা। এই সংকটময় সময়ে যুগাবতারের চরণে প্রার্থনা তিনি মানবসমাজকে রক্ষা করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here