ডিজিটাল ডেস্ক, ৬ মে : রাজ্য সফরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে শুক্রবার বিকেলে কড়া বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন, সিবিআই বা ৩৬৫ ধারা নয়, রাজ্য বিজেপিকে লড়তে হবে নিজের ক্ষমতাতেই। ২১শের বিধানসভা নির্বাচনের পর কলকাতায় এ দিন দলের রাজ্য নেতাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন শাহ । নিউ টাউনের একটি পাঁচতারা হোটেলে শাহের বৈঠকে ছিলেন বিজেপির সাংসদ–বিধায়ক থেকে জেলা সভাপতিরা। ছিলেন দলের রাজ্য নেতারা। তাঁদের শাহ জানিয়ে দেন, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পশ্চিমবঙ্গে ২০২৪ সালে বিজেপি ভালো ফল করবে।
বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের কয়েকদিন পর থেকেই নানা ভাবে ৩৬৫ ধারা জারির দাবি জানাতে থাকেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। সঙ্গে সিবিআই তদন্ত নিয়েও স্বরাষ্ট্র দফতরের ওপরেও তাঁরা চাপ তৈরির চেষ্টা করছিলেন। এ দিন সেই আশায় এক কথায় জল ঢেলেছেন অমিত শাহ। শাহ রাজ্যের নেতাদের বলেন, ‘‘বিরোধী দল হিসাবে লড়াই করা সব সময়ই কঠিন। আমরাও যখন বিরোধী দলে ছিলাম অনেক যুদ্ধ করতে হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে ৫০টার কাছাকাছি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ৬টা খুনের মামলা। দেহের অনেক হাড় ভেঙেছে। কেউ যদি মনে করে এ রাজ্যের লড়াই অন্য রাজ্য থেকে লড়ে দেবে, তাহলে সে ভুল করছে। বাংলার লড়াই বাংলার নেতাদেরই লড়তে হবে। যাঁরা ভাবছেন এমনিতেই সব হয়ে যাবে তাঁরা বাড়ি চলে যান।’’ পাশাপাশি দলের নেতাদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, তৃণমূলকে তাড়াতে গিয়ে তৃণমূল হওয়া যাবে না। কারণ, বিপুল জনমতে নির্বাচিত সরকারকে একবছরের মধ্যে ফেলে দেওয়ার ভাবনা ঠিক নয়। অমিত শাহ বলেন, ‘‘সিবিআই কোনও ঘটনার তদন্ত করতে পারে মাত্র। কিন্তু তৃণমূল নেতাদের জেলে ভরে রাখা সিবিআইয়ের কাজ নয়। আমাদের গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই করতে হবে। লড়াই শেষে সাফল্য আসবেই। একটি রাজ্যে কোনও রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় আসার তিনটি ধাপ রয়েছে। প্রথম ধাপ রাজনৈতিক দলটিকে মানুষের কাছে পরিচিত করা ও স্বীকৃতি আদায়। তার পর রয়েছে তার সংগঠন তৈরির কাজ। এর পর সেই দল ক্ষমতায় আসার কথা ভাবতে পারে। প্রসঙ্গত শাহ দাবি করেন, ‘‘এ রাজ্যে আমরা প্রথম দু’টি ধাপ পেরিয়ে এসেছি। গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। ফলে এ রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতায় আসা সময়ের অপেক্ষা।’’
