ডিজিটাল ডেস্ক, ২৭ জুন: শুক্রবার ছিল রথযাত্রা। পুরী থেকে দিঘা, মাহেশ, মায়াপুর থেকে গঙ্গাসাগর– গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ দিন এই উৎসব পালিত হয়। ফি বছরের মতো এ বারেও পুরীতে রথের রশিতে টান দিতে অগণিত ভক্তের সমাগম হয়। পুরীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে হুগলির মাহেশে রথযাত্রায় জনপ্লাবন আছড়ে পড়ে। দিঘায় তাঁর উপহার দেওয়া সোনার ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা ঝাঁট দিয়ে রথযাত্রার সূচনা পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে তিনটি রথের সামনেই আরতি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুরীতে জগন্নাথের রথ নন্দীঘোষ, বলরামের রথ তালধ্বজ এবং সুভদ্রার রথ দর্পদলন। এই তিন রথে চড়ে পার্শ্বদেবতা, চারটি ঘোড়া এবং সারথিদের সঙ্গে নিয়ে তাঁরা পাড়ি দেন গুণ্ডিচা মন্দির অর্থাৎ মাসির বাড়িতে। দাদা বলরাম এবং বোন সুভদ্রার সঙ্গে সপ্তাহজুড়ে উৎসবে মাতেন পতিতপাবন। একই ভাবে কলকাতার ইসকনেও রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। অ্যালবার্ট রোডে ইসকন মন্দিরের উল্টো দিকে হাঙ্গারফোর্ড স্ট্রিট থেকে মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন জগন্নাথ-বলভদ্র-সুভদ্রা। শেষ হয় ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে, অর্থাৎ মাসির বাড়িতে। উল্টো রথে ফের একই পথে ওই হাঙ্গারফোর্ড রোডে ইসকনের মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের তিন দেবতাকে। তাঁদের নিয়ে নদিয়ার মায়াপুরে রাজাপুর থেকে ইসকনের রথ চন্দ্রোদয় মন্দিরে আসে। গঙ্গাসাগরে ইসকনের রথযাত্রাকে ঘিরেও ভক্তের ভিড় উপচে পড়ে। প্রাচীন রীতি মেনেই মল্লগড় বিষ্ণুপুরে ৩৫০ বছরের বেশি প্রাচীন রথের রশিতে টান দেন অগণিত ভক্ত। রথে সওয়ার হন ঠাকুর রাধা মদন গোপাল জিউ। তবে এ বারে রথযাত্রা উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে ওঠে দিঘা। এখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় তৈরি করা হয়েছে জগন্নাথদেবের মন্দির। রথের রশি টেনে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন উৎসবের সূচনা করেন। পুরীর আদলে সৈকতনগরী দিঘাও উৎসবে মেতে ওঠে।