ডিজিটাল ডেস্ক, ৫ ডিসেম্বর: পুজো আসে পুজো যায়, কিন্তু রেখে যায় কিছু স্মৃতি। তারই এক ঝলক– এ বারে শারদ উৎসবকে শুধুমাত্র আনন্দ-উল্লাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেনি ‘উই আর দা কমন পিপল’। এ শহরের একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। পুজোকে ঘিরে উদ্যোক্তারা তাঁদের কাজকে সামাজিক দায়বদ্ধতার মঞ্চে পরিণত করেছিল।
সূত্রের খবর–সংগঠনের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা সদস্যা ছন্দা দত্তগুপ্তের স্মৃতিতে একটি বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে এ বছর কলকাতার ১২টি ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজো কমিটিকে প্রদান করা হয় মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি। পাশাপাশি উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেওয়া হয় সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষজনের সঙ্গে। পুরস্কারপ্রাপ্ত পুজো কমিটিগুলির মধ্যে রয়েছে—নলিনী সরকার স্ট্রিট সর্বজনীন, কাশীবোস লেন, কুমারটুলি পার্ক সর্বজনীন, কুমারটুলি সর্বজনীন, আহিরিটোলা সর্বজনীন, দুর্বার মহিলা, পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক মঞ্চ, বাগবাজার সর্বজনীন ও প্রদর্শনী, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সর্বজনীন, কলেজ স্কোয়ার সর্বজনীন, জগৎ মুখার্জি পার্ক সাধারণ ও প্রদর্শনী এবং মণিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টি। সমাজের প্রতি বিশেষ অবদানের জন্য সোনাগাছির দুর্গোৎসব কমিটি পেয়েছে ‘নারী শক্তির সম্মাননা’।
এই দিনটির সবচেয়ে হৃদয়স্পর্শী অংশ ছিল ৫০ জন ইটভাটা শ্রমিকের সন্তানের মুখে হাসি ফোটানো। সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের নতুন জামাকাপড় উপহার দেওয়া হয় এবং তাদের নিয়ে শহরে এক আনন্দময় পুজো পরিক্রমা করানো হয়। সংগঠনের সম্পাদক শুভজিৎ দত্তগুপ্ত এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে দুর্গাপুজো হল ঐক্য ও মানবিকতার উৎসব। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়েছি, একইসঙ্গে সমাজের প্রান্তিক অংশের মানুষের সুখের অংশীদার হয়েছি। আগামী দিনেও সমাজ পরিবর্তনের এই শপথ আমরা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।’’