ডিজিটাল ডেস্ক, ১৯ জানুয়ারি : মাওবাদীদের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ঙ্কর বিজেপি। অজগর, কেউটের চেয়েও বেশি বিষধর। মঙ্গলবার পুরুলিয়ার জনসভা থেকে এ ভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, এ দিন পূর্ব মেদিনীপুরে হেঁড়িয়াতে সমাবেশ থেকে রাখঢাক না করেই তাঁর সেই ‘ভাইপো’কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি দলে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারি। পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘মমতা রাজনৈতিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। গত পাঁচ বছরে নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েনি। মাননীয়া আপনি আর যাই করুন না কেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর লেটার হেড ছাপিয়ে রাখবেন, কাজে লাগবে।’’ হেঁড়িয়াতে সমাবেশে আসার পথে দু’জায়গায় বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূলি হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন বলে দাবি নেতৃত্বের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক মণ্ডল সভাপতিও।
মমতা এ দিন বলেন, ‘‘মাওবাদীরা তো অস্ত্র ফেলে মূল স্রোতে ফিরেছেন। আমরা তাঁদের চাকরি দিয়েছি। যাঁরা পাননি তাঁরাও পাবেন। কিন্তু বিজেপি মাওবাদীদের চেয়েও ভয়ঙ্কর। বাঁশ হয়ে ঢুকবে, ফালি হয়ে বেরোবে। অজগর, কেউটে, কোবরা নয়, সবচেয়ে বিষধর বিজেপি। এক ছোবলেই শেষ। ধরে, গিলে খেয়ে, হজম করে পালাবে।’’ নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সহযোদ্ধা, অধুনা দলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারির গড়ে গিয়ে সোমবার সেখান থেকে ভোটে লড়ার জল্পনা উসকে দিয়েছেন মমতা। মঙ্গলবার নাম না করে ফের একবার শুভেন্দুকে লোভী এবং ভোগী বলে কটাক্ষ করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘রাজনীতিতে তিন ধরনের লোক থাকে, লোভী, ভোগী আর ত্যাগী। আপনারা হলেন ত্যাগী। ত্যাগীদের বাড়িতে গিয়েই এ বার ভোট চাইছে ভোগীরা। কিছু লোভী, ভোগী দল ছেড়ে চলে গিয়েছে। তাতে ভালই হয়েছে। ত্যাগীরা কিন্তু শত প্রলোভনেও মায়ের কোল ছাড়ে না।’’ বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘সায়নী বলে একটা মেয়ে ফিল্মে কাজ করে। তাকে ধমকানো হচ্ছে। চমকানো হচ্ছে। আজ সকালেও শুনলাম তাকে ধমকাচ্ছে বিজেপি। এত বড় ক্ষমতা ওদের!’’ অন্যদিকে, মঙ্গলবার হেঁড়িয়ার সমাবেশ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম করেই আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেন শুভেন্দু।