ডিজিটাল ডেস্ক, ৪ জানুয়ারি : একেই বলে নারদ-নারদ। ভোটের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে, ততই শাসক বনাম বিরোধীদের তরজা মাত্রা পাচ্ছে। একে অপরকে আক্রমণের তেজ বাড়ছে। সেইমতো তাঁর দিকে ‘উপসর্গহীন করোনাভাইরাস আক্রান্ত’-এর কটাক্ষ উড়ে এসেছিল। এ বার নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পালটা তৃণমূলকে ‘প্রাইভেট কোম্পানি’ বলে আর তার ‘ক্যানসার’ বলে পালটা মন্তব্য ছুড়ে দিলেন বিজেপিতে যোগ দেওয়া তৃণমূলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারি।
রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির ঢোলামারি বাজার থেকে মুকুন্দপুর পর্যন্ত রোড শো করেন নবাগত ওই বিজেপি নেতা। তাতে মানুষের ঢল নেমেছিল বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে। মুকুন্দপুরে রোড শো শেষে যথারীতি তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শানান শুভেন্দু। অভিযোগ করেন, শুভেন্দুর রোড শো’তে যাতে ভিড় কম হয়, সেজন্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের আটকানোর চেষ্টা করেছে তৃণমূল। কিন্তু আখেরে কোনও লাভ হয়নি। চারটি অঞ্চল থেকে রোড শো’তে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন বলে দাবি করেন শুভেন্দু। তিনি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করারও ডাক দেন। এ দিনের সমাবেশ থেকে যথারীতি ‘তোলাবাজ ভাইপো’কেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘বলছে শুভেন্দু অধিকারি উপসর্গহীন করোনাভাইরাস আক্রান্ত। আরে উপসর্গহীন হলে মরে না, বেঁচে যায়। আর তুমি তো তৃণমূল প্রাইভেট কোম্পানির ক্যানসার। মাথা থেকে পচন শুরু হয়েছে। কাজেই বাঁচার কোনও উপায় নেই।’
গত ২৮ ডিসেম্বর ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে শুভেন্দুকে আক্রমণ শানিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘২০১৪ সাল থেকে অমিত শাহের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আপনারা জানেন, এই যে করোনা চলছে, করোনায় অনেক জায়গায় রোগটা ছড়িয়ে পড়েছে। যেমন মুম্বইয়ের ধারাভি বলে একটা বস্তি ছিল, রোগটা ছড়িয়ে পড়েছিল। এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে। কলকাতায় দেখবেন আমাদের সংক্রমণ বেড়েছিল, হাওড়ায় বেড়েছিল। তার কারণ কী? করোনায় ৮০ শতাংশ লোক উপসর্গহীন। আমাদের দলেও কিছু উপসর্গহীন বেইমানেরা ছিল। এই বেইমানগুলোকে আমরা চিহ্নিত করেছি।’’ পাশাপাশি শুভেন্দু রবিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ধাঁচে পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দেন। তিনি জানান, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা আসার পর ‘দলদাস, ক্রীতদাস’ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।