ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ জুলাই : করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভারতে শনিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা আট লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বুলেটিনে জানিয়েছে, ২২,১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ দিনই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)-র গভর্নর শক্তিকান্ত দাস প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ ভাইরাসকে গত ১০০ বছরের মধ্যে সবথেকে বড় স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সংকট বলে মেনে নিয়েছেন। তিনি কবুল করেন, ‘‘করোনার প্রভাব পড়েছে ভারতের অর্থনীতিতেও। তাই অর্থনৈতিক বৃদ্ধির উপরেই এখন সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হবে।’’
শনিবার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) চেয়ারম্যান রজনীশ কুমারের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় আরবিআই গভর্নর জানান, এ বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই যে, করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। এই আবহে আরবিআইয়ের কাছে অর্থনৈতিক বৃদ্ধিই সবথেকে বেশি প্রাধান্য পাবে। পাশাপাশি আর্থিক স্থিতিশীলতাকেও নজর দিতে হবে বলে তিনি জানান। এই আর্থিক সংকটের মধ্যে দেশের সব ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেভাবে লড়াই করছে, তা প্রশংসনীয় বলে দাবি করে আরবিআই গভর্নর এ দিন বলেন, ‘‘ করোনা পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপ করেছে।’’ সেইমতো আর্থিক সংকটকে মোকাবিলা করতে বাজারে টাকার জোগান বাড়াতে প্রচলিত ও ব্যতিক্রমী, দু’ধরনের পদক্ষেপই করেছে আরবিআই। সূত্রের খবর, আরবিআই ফেব্রুয়ারি থেকে ৯.৫৭ লক্ষ কোটি ‘লিকুইড মানি’র জোগানের কথা ঘোষণা করেছে, যা জিডিপির ৪.৭ শতাংশের সমান।
শনিবার সপ্তম এসবিআই ব্যাঙ্কিং অ্যান্ড ইকোনমিক্স কনক্লেভের মঞ্চে ভিডিও কনফারেন্সের মারফত নিজের মত ব্যক্ত করেন আরবিআইয়ের গভর্নর। তিনি জানান, অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকেই এখন অগ্রাধিকার দিচ্ছে আরবিআই। আর্থিক স্থিতিশীলতার দিকেও সমান অগ্রাধিকার দিতে হবে। এনবিএফসি এবং মিউচুয়াল ফান্ডগুলির উপর নজর রাখতে হবে। সেইসঙ্গে তাঁর আশ্বাস, “লকডাউন উঠতেই স্বাভাবিক হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। কিন্তু ক্রেডিট প্রবাহ চালু রাখতে মূলধন সংগ্রহ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।”