আমাদের কথা

গত পঁচিশ বছরে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রটি আমূল বদলে গিয়েছে। লক্ষ্যণীয় হল, সংবাদমাধ্যমকে অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে রাজনৈতিক শক্তিকে তোষামদ করে চলতে হচ্ছে। ফলে পেশা হিসাবে সাংবাদিকতার চরিত্রটিও সময়ের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে। তাই কোনও সংবাদমাধ্যম আজ আর জোরগলায় বলতে পারে না, অসির চেয়ে কলমই শক্তিশালী।

তা হলে দ্য কলকাতা এক্সপ্রেস ডটকম কেন? কেউ প্রশ্ন করতেই পারেন, ধান্দবাজি করতে? প্রশ্নটা খুবই প্রাসঙ্গিক। কারণ, যে ভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো সংবাদমাধ্যমের জন্ম হচ্ছে, আর তা যে ভাবে পাঠকের সামনে মেলে ধরা হচ্ছে, তার মান নিয়ে বিদ্বজ্জনরা নাক সিটকাতেই পারেন। কেউ হয়তো বলেই বসবেন, পড়তে গেলে গা ঘুলিয়ে ওঠে। এরই মধ্যে আমরা ব্যতিক্রমী হতে চাইছি। তাই আমরা ছাপাখানার গণ্ডির মধ্যে না থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভেসে উঠছি। নিরপেক্ষতাকে  আঁকড়ে ধরে সেখানে আমরা নিজেদের প্রকাশ করছি। কতটা সফল হতে পারব,তা জানি না।

কারণ, অস্বীকার করছি না যে, আমাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। আর আমরা কেউকেটাও নই। এ কথা মাথায় রেখেই কলকাতার সীমানা পেরিয়ে গোটা দুনিযার জনজীবনের কথা তুলে ধরাটাই আমাদের লক্ষ্য। তার মধ্যে যেমন পাওয়া যাবে সমাজের আনাচে-কানাচে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা, রাজনৈতিক খবরাখবর ও তার বিশ্লেষণ, তেমনি খোঁজ মিলবে জীবনধারা থেকে বিনোদন, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শিক্ষা, খেলাধুলা, দৈনন্দিন কর্মজীবনের বর্ণলেশহীন ধূসরতা থেকে মুক্তির স্বাদ পাওয়া ভ্রমণ সংক্রান্ত ও সাহিত্য-শিল্প বিষয়ক নানা রচনা।

আমরা অনুপ্রাণিত যে, অসংখ্য পাঠক আমাদের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। আমরা তাঁদের কাছে দায়বদ্ধ। আমাদের অঙ্গীকার, সততাই মূল মন্ত্র।| সৌহার্দ্য আমাদের প্রেরণা। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ মানুষই আমাদের শক্তি। মানুষই আমাদের কণ্ঠস্বর। তাই আমাদের প্রত্যাশা, আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন। সবরকমভাবে সাহায্য করুন। যাঁরা ইতিমধ্যেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাঁদের কাছে ঋণী থাকলাম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here