নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও মোদীর দাবি–বিকশিত ভারতের জয়!

নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি–সংগৃহীত।

ডিজিটাল ডেস্ক, ১০ জুন: ৪০০ আসন পাওয়ার লক্ষ্যে এ বার লোকসভা নির্বাচনে লড়তে নেমেছিল বিজেপি। স্লোগান উঠেছিল, ‘আব কি বার, চারশো পার’। তবে কার্যক্ষেত্রে আড়াইশোর ঘরও পেরোতে পারল না বিজেপি। তবুও মোদীর দাবি–বিকশিত ভারতের জয়! আর বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন–বিজেপির মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে। এমনটি হবে ভোটপরবর্তী সমীক্ষায় তা উঠে আসেনি।  বিরোধী জোট   আটকে দিল ‘পদ্মে’র নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথ।

ফলাফল বলছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ আর এনডিএ-র মধ্যে আসনের ব্যবধান ৬০-এর কিছু বেশি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের তকমাও পায়নি বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে সরকার চালাতে শরিক দলগুলির উপরে অনেকটাই নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে। সে ক্ষেত্রে এনডিএ-র অন্য দলগুলি বিজেপির উপর চাপ বৃদ্ধি করতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। এই আবহে সেই মোদী-ম্যাজিক অনেকটাই ফিকে। তাই এক ধাক্কায় বিজেপির আসনসংখ্যা নেমে এল ২৩৯টি আসনে। নিজের বারাণসী কেন্দ্র থেকে অবশ্য জয় পেয়েছেন মোদী। তবে গতবারের তুলনায় মোদীর জয়ের ব্যবধান কমেছে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ। ফলাফল থেকে পরিষ্কার–কাজে লাগেনি রামমন্দির তৈরি, ভোটের আগে লাগু করা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (এনআরসি)। এ ছাড়াও আত্মনির্ভরশীল ভারত তৈরির নানা প্রতিশ্রুতি। তবুও মোদীর দাবি–বিকশিত ভারতের জয়!

রবিবার রাষ্ট্রপতিভবনে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শপথবাক্য পাঠ করান আরও ৭২ জন মন্ত্রীকে। সোমবার মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকের পর একে একে মন্ত্রীদের কাঁধে গুরুদায়িত্ব সঁপে দেন প্রধানমন্ত্রী।

 

ফলাফল বলছে, এনডিএ সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে রয়েছে ২৯৫টি আসনে। যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে বেশি। অর্থাৎ, এই আসনসংখ্যা ধরে রাখতে পারলে তৃতীয়বার মোদীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী পদে বাধা থাকার কথা নয়। কিন্তু এখানেই রয়েছে মোচড়। কারণ, এনডিএ-র ঝুলিতে ২৯৫ আসনের মধ্যে দুই ‘এন’–যথাক্রমে নায়ডু এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দখলে রয়েছে অন্তত ৩০টি আসন। এনডিএর ঝুলি থেকে সেই ৩০ আসন কমে গেলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবেন মোদী।

মমতার কথায়–মোদী ম্যাজিক শেষ। ওদের মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘মোদী যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেত তবে দেশ থাকত না। এনডিএ এখন ‘লস্ট কেস’। তাই যাঁরা ওঁদের সমর্থন করবেন বলে ভাবছেন, তাঁদের আমরা বারণ করব। এর থেকে বেশি কিছু করতে পারি না। তবে মানুষকে আমি ধন্যবাদ জানাব। তাঁদের ভালবাসার কাছে আমার মাথা নত করতে ইচ্ছে করছে। এর পরে আমাদের লক্ষ্য হবে একটাই, বাংলার যে সব অর্থ ওরা আটকে রেখেছে, বাংলাকে যে সব সুবিধা থেকে কেন্দ্র বঞ্চিত করেছে, সে সব আদায় করে আনা। পাশাপাশি মমতার দাবি–কেন্দ্রে আর ওদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে না। তাই যথেচ্ছ বিল পাশ করতে পারবে না। আমরা আমাদের অধিকার আদায় করতে পারব।

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here