ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ মার্চ: লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তার আগেই সোমবার থেকে দেশজুড়ে লাগু হয়ে গেল সিএএ। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএএ সংসদে অনেকদিন আগেই পাস হয়েছে । কিন্তু প্রায় সাড়ে চার বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও তার কোনও বিধি তৈরি হয়নি। এ নিয়ে বিরোধীরা বারেবারেই সুর চড়াচ্ছিল। এ বার বিধি তৈরি করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র। এই আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো দেশগুলি থেকে মুসলমান ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যাঁরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে এসেছেন তাঁরা এ দেশের নাগরিকত্ব পাবেন।
বিজ্ঞপ্তি জারির খবরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিএএ-র নামে কারও অধিকার কেড়ে নেওয়া হলে আন্দোলন হবে। তবে আইনটা আগে আমি দেখব। যদি দেখি কোনও শ্রেণির মানুষের উপরে বৈষম্য হচ্ছে তা হলে তার বিরোধিতা করব। কোনও বৈষম্য মানব না।’’ যদিও এই নয়া আইনে কারও নাগরিকত্ব যাবে না বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। গত মাসেই সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে কর্মরত এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, সিএএ কার্যকরের বিজ্ঞপ্তি লোকসভা নির্বাচনের আগেই জারি হয়ে যাবে। এই আইনের নিয়ম বা ধারা তৈরি। নাম নথিভুক্তকরণের জন্য অনলাইন পোর্টালও প্রস্তুত। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘সিএএ-র গোটা প্রক্রিয়াই অনলাইনে হবে। সেখানে আবেদনকারীদের শুধু জানাতে হবে তাঁরা কবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।’’ তবে পশ্চিমবঙ্গে এই আইনের বিরাট প্রভাব পড়তে পারে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, লোকসভা ভোটের মুখে কার্যত মাস্টার স্ট্রোক দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওপার বাংলা থেকে আসা শরণার্থীরা এতদিন নানা দোলাচলে ছিলেন। এ বার তাঁরা স্বস্তি পাবেন। উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে উৎসবে মাতোয়ারা মতুয়ারা বলেন– আজ আনন্দের দিন। আজ আমাদের খুশির দিন। মনে হচ্ছে যেন স্বাধীনতা পেলাম।