ডিজিটাল ডেস্ক, ২৩ জুলাই: সংসদে সপ্তম বারের জন্য বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এ বারের বাজেটে করদাতাদের প্রত্যাশা ছিল অনেক। বাজেটে করদাতাদের অনেক ধরনের ত্রাণ দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা ছিল বিশেষজ্ঞদের। তবে কেন্দ্রীয় বাজেটে আংশিক স্বস্তি পেলেন করদাতারা। বেতনভুক কর্মচারীদের নয়া করকাঠামোয় বার্ষিক ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে দিতে হচ্ছে না কোনও কর।
বাজেটে বলা হয়েছে যে, বার্ষিক ৩ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে ৫শতাংশ। ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয়ে দিতে হবে ১০ শতাংশ কর। ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা আয়ে ১৫ শতাংশ। ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আয়ে ২০ শতাংশ। শেষে ১৫ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয় থেকে শুরু করে বর্ধিত আয়ে দিতে হবে ৩০ শতাংশ কর। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার থেকে বেড়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হল। কর্পোরেট ট্যাক্সের হার ৪০ থেকে ৩৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে, বলেছেন অর্থমন্ত্রী।
সরকার বিহারের বিভিন্ন সড়ক প্রকল্পের জন্য ২৬ হাজার কোটি টাকারও প্রস্তাব করেছে। এনডিএ জোট সরকারের শরিক যথাক্রমে বিহারের শাসকদল জেডি(ইউ) এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তেলুগু দেশম পার্টি। জোট শরিকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে ঢালাও বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভার বিরোধীদলী নেতা তথা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন। রাহুল এই বাজেটকে ‘গদি বাঁচানোর’ বাজেট বলে অভিহিত করেছেন। রাহুল বলেন– বন্ধুদের খুশি করতেই এই বাজেট আনা হয়েছে। আর দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বাজেটের প্রশংসা করে বলেন, “এটি সমাজের সব শ্রেণিকে শক্তিশালী করবে। এই বাজেট দেশের গরিব মানুষ, গ্রাম এবং কৃষককে উন্নতির পথে নিয়ে যাবে।”