ডিজিটাল ডেস্ক, ২৩ জুন: রাজ্যস্তরে ঠোকাঠুকি থাকলেও একই সারিতে বসলেন রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ডাকে শুক্রবার পটনায় বিজেপি বিরোধী দলগুলির বৈঠকে এই ছবির ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে চর্চা শুরু হতেই আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপি বিরোধীদের এক জোট হওয়ার সম্ভাবনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পটনার বৈঠক চলাকালীনই জম্মু ও কাশ্মীর সফরে গিয়ে শাহ বলেন, ‘‘ওখানে তো ফোটো সেশন চলছে।’’
২০২৪-এর লোকসভা ভোটে কোনও বিরোধী জোটের সম্ভাবনাই নেই। শেষ পর্যন্ত যদি ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি বিরোধী জোট হয়, তা হলেও তাঁদের চিন্তার কোনও কারণ নেই বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমি ওই বিরোধী নেতাদের বলতে চাই যে, আপনাদের ঐক্য প্রায় অসম্ভব এবং শেষ পর্যন্ত যদিও বা তা আদৌ হয়, অনুগ্রহ করে জনগণের সামনে সেই ঐক্য তুলে ধরুন।’’ শাহ দাবি করেন, ‘’২৪-এর ভোটে ৩০০-র বেশি আসন নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর প্রত্যাবর্তন বিরোধীরা আটকাতে পারবেন না।’’ যদিও এ দিন পটনার বৈঠক থেকে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধেই একযোগে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দেন নীতীশ, রাহুল, মমতারা। বৈঠক ফলপ্রসূ বলেও দাবি তাঁদের। কিন্তু, কোন সমীকরণে বিরোধীদের লড়াই হবে? তা নিয়ে এখনও কোনও নেতৃত্বই মুখ খোলেননি।
সূত্রের খবর, পটনার পর জুলাইতে সিমলায় তাঁদের পরবর্তী বৈঠক হবে। শুক্রবারের বৈঠকে যোগ দেন ১৫টি অ-বিজেপি রাজনৈতিক দলের ৩০ জন প্রতিনিধি। বৈঠকের র পরে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘এটা আদর্শের লড়াই। আমাদের মধ্যে ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আমরা আদর্শ রক্ষার কাজ করে যাব।’’ আর কেন্দ্রকে ‘‘স্বৈরাচারী’ সরকার বলে দাবি করে মমতা বলেন, ‘‘ইতিহাসের শুরু হয়ে গেল। সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে ২০২৪ সালের ভোটে লড়াই করব।’’ বাংলার প্রসঙ্গ টেনে মমতার দাবি, রাজভবন থেকে সমান্তরাল প্রশাসন চালানো হচ্ছে। নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, জাতীয় স্বার্থে আমরা একসঙ্গে এসেছি। যারা দিল্লিতে ক্ষমতায় আছে তারা জাতীয় স্বার্থের বিরোধী। ন্যাশানাল কনফারেন্স লিডার ওমর আবদুল্লাহ বলেন, ‘‘দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা এগিয়ে এসেছি। আমরা গণতন্ত্র ফেরাতে চাই। আমি আর মেহেবুবা মুফতি দেশের সেই অংশে থাকি যেখানে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়।’’ এই বৈঠককে তীব্র কটাক্ষ করেছেন পশ্চিম বঙ্গে বিরোধী-দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারিও। তিনি কেন্দ্রবিরোধী জোটকে ‘চোরেদের সিন্ডিকেটের জোট’ বলে কটাক্ষ করেন।