ডিজিটাল ডেস্ক, ২২ ডিসেম্বর : ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। চিনে করোনাভাইরাসের উপপ্রজাতি ‘বিএফ.৭’-এর দাপাদাপিতে তৎপর হয়েছে ভারত সরকার। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে মাস্ক পরার আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার করোনা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই মাস্ক পরার বার্তা দেন নমো। এ দিন-ই সংসদে একটি বিবৃতি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। তিনি বলেন, দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে এখনই আতঙ্কের কিছু নেই। তবে সকলকে মাস্ক ব্যবহার করতে ও বুস্টার ডোজ নিতে তিনি অনুরোধ করেন।
এর মধ্যেই ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কংগ্রেস যদিও বলেছে তারা যাত্রা বন্ধ করবে না। কার্যত সেই একই পথে হেঁটে বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন– উৎসবের আলো মলিন হয়ে যাবে না। উৎসব করবে বাংলা, তবে সতর্ক ভাবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সুরে মমতা বলেন, ‘‘উদ্বেগের কিছু নেই, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে সরকার।’’ সেইসঙ্গে তিনি জানান, এখনই নাইট কার্ফু বা বিধিনিষেধের কথা ভাবছে না সরকার। সময়মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোভিড বিধি মেনেই গঙ্গাসাগরমেলা হবে। সেই সঙ্গে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে যাতে জোর দেওয়া হয়, রাজ্যগুলিকে সেই বার্তাও মোদী দিয়েছেন। ক’দিন বাদেই রয়েছে বড়দিন। তার পরই রয়েছে বর্ষশেষের উদ্যাপন। উৎসবের মরসুমে যাতে সংক্রমণ না বাড়ে সে কারণে দূরত্ববিধি মেনে চলা, মাস্ক এবং নিয়মিত স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান যে, চিনের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশের করোনা পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় স্তরে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মহামারি এখনও শেষ হয়নি। কোভিড আমাদের শত্রু। সে প্রতিনিয়ত রূপ বদলাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি রাখতে হবে।’’