ডিজিটাল ডেস্ক, ১ সেপ্টেম্বর : বঙ্গের দুর্গাপুজো পেয়েছে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা। তাই প্রবল উদ্দীপনা আর বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের কাছে হার মানল বৃষ্টি। জোড়াসাঁকো থেকে রেড রোড–বৃষ্টিভেজা কলকাতা ঢাকল পুজোর রঙিন শোভাযাত্রা। টুইট করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন–দুর্গাপুজো একটি আবেগ যা সংকীর্ণ বাধার ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের একত্রিত করে। এটি আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে শিল্পের মহিমাকে একত্রিত করে। দুর্গাপুজোকে একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এবং সংশ্লিষ্ট সকলের ভালোবাসার শ্রমকে সম্মান জানানোর জন্য ইউনেসকো-কে ধন্যবাদ জানাই।
ইউনেস্কো কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই এই স্বীকৃতির কৃতিত্ব কার তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের শেষ নেই। আদতে এই বিরাট স্বীকৃতির নেপথ্যে রয়েছে অধ্যাপিকা তপতী গুহঠাকুরতার অবদান। এ নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা তপতীদেবীকে রেড রোডের অনুষ্ঠান মঞ্চে সংবর্ধনা দিয়ে ‘কর্তব্য’ পালন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে শোভাযাত্রায় কোথাও ছৌনাচ, কোথাও ধামসা-মাদল নিয়ে নাচ। ছিল রংবেরঙের বেলুন, পতাকা। ছিল দুর্গামূর্তিও। কোথাও আবার ধুনুচি নাচ। আর সব ছাপিয়ে দুর্গাপুজোর আবশ্যিক অনুষঙ্গ ঢাকের আওয়াজ। সঙ্গে রাস্তার পাশের লাউডস্পিকার থেকে ভেসে-আসা পুজোর গান। যার গীতিকার এবং সুরকার মমতা স্বয়ং। গেয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার সূচনা করে মমতা ঘোষণা করেন, ‘‘আজ থেকেই আমাদের দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেল। সমস্ত ধর্ম, বর্ণকে নিয়ে এগিয়ে চলব আমরা। ইউনেসকোকে ধন্যবাদ। সারা বিশ্বকে ধন্যবাদ।’’ মমতার সঙ্গে শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন একাধিক তারকা, মন্ত্রী, বিধায়ক, আমলা এবং সাধারণ মানুষ। রেড রোডে মিছিল শেষ হওয়ার পর বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর পাশের চেয়ারেই বসতে দেখা যায় মহারাজকে। আর তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।