ডিজিটাল ডেস্ক, ২ মার্চ : কলকাতা-সহ রাজ্যের চার পুরনিগমে দিদিঝড় বয়েছে। এ বার রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ১০২টিতে সেই ঝড়েই বিরোধীরা বিপর্যস্ত। পাহাড় থেকে সমতলে বুধবার একের পর এক পুরভোটে জয়ের খবর আসার পর টুইটে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মা–মাটি–মানুষকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা। বিপুল জয়ের জন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। পুরভোটে জয়ী প্রার্থীদের সবাইকে অভিনন্দন।’’ একইসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘জয় আমাদের দায়িত্ববোধ ও দায়বদ্ধতা বাড়াক। জয়ী হয়েও আমরা যেন বিনয়ী থাকতে পারি। আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে রাজ্যে শান্তি, উন্নতি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করি।’’ দিদিঝড়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একটিও আসন না পাওয়া সিপিএম তাহেরপুর পুরসভার ক্ষমতা ধরে রাখল। নদিয়ার এই পুরসভার মোট ১৩টি ওয়ার্ড আছে। তার মধ্যে ৮টিতে জয় পেয়েছে সিপিএম। বাকি ৫টিতে জয়ী হয়েছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। এখানে সিপিএমের সাফল্য আসার প্রথম কারণটি হল, নতুন প্রজন্মের উপর তারা ভরসা রেখেছিল। রাজ্যের ১০৮ পুরসভার নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘মুর্শিদাবাদের বহরমপুর সহ অন্যান্য পুরসভায় সকালে প্রথম অর্ধে অবাধ ভোট হবার ফলেই কংগ্রেস কয়েকটি আসন পেয়েছে। এই জয় অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্ট জয়ের মতো।’’ বিধানসভা নির্বাচনের পর পুরসভা নির্বাচনে যেন আরও ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেল বিজেপি। আগের পুরসভার একটিতেও জিততে পারেনি বিজেপি। আবার রেলশহর খড়গপুরে হিরণ জিতলেও পুরসভা দখল থেকে অনেক দূরেই রয়ে গেল বিজেপি। হিরণ–দিলীপ আকচা–আকচিও দেখেছেন এখানকার মানুষ। সবমিলিয়ে বিজেপি নিজের গড়ে ধরাশায়ী। এদিন ভোটগণনার সময় বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘প্রত্যাশা রয়েছে কিন্তু যে রেজাল্ট হওয়ার কথা ছিল সেটা হবে না। ভয়ের পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে তাই যা রেজাল্ট হওয়ার ছিল তা হবে না। বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা, ভোট লুট সিপিআইএম আমলে হতো এবং মানুষ তাদের বিদায় দিয়েছে। এরপরে মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
পুরবাসীর রায় | |
দল | কার দখলে ক’টা পুরসভা |
তৃণমূল কংগ্রেস | ১০২ |
বিজেপি | ০০ |
বামফ্রন্ট | ১ |
কংগ্রেস | ০০ |
অন্যান্য | ১ |
ত্রিশঙ্কু | ৪ |
সর্বমোট | ১০৮ |