ডিজিটাল ডেস্ক, ২৬ ফেব্রুয়ারি : ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে বিরত থাকল ভারত। একই অবস্থান নিয়েছে চিন ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও। মোট ১১টি দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে (প্রস্তাবের পক্ষে), রাশিয়া নিজের ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করেছে (রেজোলিউশনটি ব্লক করতে)। ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে ভারত, চিন ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। সূত্রের খবর, ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রুশ আক্রমণের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে যৌথভাবে প্রস্তাব আনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আলবেনিয়া। তাতে রুশ আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা করা হয়। দাবি তোলা হয়, অবিলম্বে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনার প্রত্যাহার এবং আগ্রাসী মনোভাবের সংবরণের। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘‘নিজেদের বারাকে ফিরে যাওয়া উচিত রুশ সেনাবাহিনীর।’’
ইউক্রেনে পুরোদস্তুর যুদ্ধ চলছে। এর মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ফোনে কথা হয়। ফোনালাপ শেষ হওয়ার পর এ নিয়ে টুইট করেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে আগ্রাসনের প্রকৃতি সম্বন্ধে অবগত করেছি। এক লক্ষেরও বেশি বহিরাগত আমাদের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছে। তারা আমাদের নাগরিকদের বাড়ি তাক করে গুলিবর্ষণ করছে। আমি তাঁকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে রাজনৈতিক সহায়তা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি। তাঁর কাছে একসঙ্গে আগ্রাসনকারীকে প্রতিরোধের আবেদন রেখেছি।’’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা তাঁর কথা হয়, এমনটাই সূত্রের খবর। সেখানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে কিভ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু মার্কিন মুলুকের বক্তব্য উড়িয়ে প্রেসিডেন্ট জবাব দেন, ‘‘আমাকে উদ্ধারের প্রয়োজন নেই। লড়াইয়ের জন্য গোলাবারুদ পাঠান।’’ শুক্রবারই একটি ভিডিয়ো বার্তায় জেলেনস্কি বলেছিলেন, “আমি কিভ থেকে পালাইনি। এখানেই রয়েছি।’’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়েছেন, ‘‘তিনি ময়দান ছেড়ে পালানোর মানুষ নন। বরং দেশ এবং দেশবাসীকে রক্ষা করার জন্য তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।’’





